শিরোনাম
রাণীনগরে আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে বিজয় দিবসে জামায়াতের র‍্যালী-বরেন্দ্র নিউজ গোমস্তাপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে গোহালবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির ত্রি-বার্ষিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্র সংস্কারের দাবিতে আলোচনা সভা-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাট উপজেলা বিএনপি’র ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত-বরেন্দ্র নিউজ গোদাগাড়ীতে ৫০ গ্রাম হিরোইনসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক-বরেন্দ্র নিউজ গোমস্তাপুর ইউনিয়ন বিএনপির ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত-বরেন্দ্র নিউজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের উদ্যোগে দিনব্যাপী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে শিবিরের কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটির ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত-বরেন্দ্র নিউজ
আগামীকাল প্রকাশিত হচ্ছে ১১ হাজার রাজাকারের নাম-বরেন্দ্র নিউজ

আগামীকাল প্রকাশিত হচ্ছে ১১ হাজার রাজাকারের নাম-বরেন্দ্র নিউজ

বরেন্দ্র নিউজ ডেস্ক : বিজয়ের ৪৯ বছরে এসে এবার স্বাধীনতাবিরোধী সেই রাজাকার বাহিনীর সদস্যদের নামের তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামীকাল রবিবার দুপুরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রায় ১১ হাজার রাজাকারের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করা হবে। পর্যায়ক্রমে অন্য ঘাতক বাহিনীর সদস্যদের তালিকাও প্রকাশ করা হবে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সাড়ে আট হাজার রাজাকারের তালিকা আপলোড হয়েছে, এখনও আপলোড অব্যাহত আছে। আপলোড শেষে তালিকাটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী রাজাকারদের নাম, পরিচয় ও ভূমিকা সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্যই তালিকা প্রকাশ করা হবে। আশা করছি, ১১ থেকে ১২ হাজার রাজাকারের নাম ও তথ্যাদি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা যাবে। পর্যায়ক্রমে অন্য রাজাকারদের নামও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

রাজাকারের তথ্য সংগ্রহের উৎস প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, একাত্তরের রাজাকার বাহিনীর সদস্য হিসেবে যারা ভাতা নিয়েছেন বা যাদের নামে অস্ত্র এসেছে, তাদের নাম-পরিচয়, ভূমিকাসহ তথ্যাদি স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে ছিল। সেগুলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি নতুন কোনো তালিকা নয়।

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির তথ্যানুযায়ী, একাত্তরের মে মাসে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালি নিধনে পাকিস্তানি সেনাদের সহায়তা দিতে গঠিত হয় রাজাকার বাহিনী। খুলনায় খান জাহান আলী রোডের একটি আনসার ক্যাম্পে ৯৬ জন পাকিস্তানপন্থি কর্মী নিয়ে রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়। পরে দেশের অন্যান্য অংশেও গড়ে তোলা হয় এই বাহিনী। প্রথম পর্যায়ে রাজাকার বাহিনী ছিল এলাকার শান্তি কমিটির নেতৃত্বাধীন। একাত্তরের ১ জুন পাকিস্তানের জেনারেল টিক্কা খান পূর্ব পাকিস্তান রাজাকার অর্ডিন্যান্স জারি করে আনসার বাহিনীকে রাজাকার বাহিনীতে রূপান্তরিত করেন। তবে এর নেতৃত্ব ছিল পাকিস্থানপন্থি স্থানীয় নেতাদের হাতে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৭ সেপ্টেম্বর জারি করা এক অধ্যাদেশবলে রাজাকার বাহিনীর সদস্যদের সেনাবাহিনীর সদস্যরূপে স্বীকৃতি দেয়। এর সংখ্যা ছিল অন্তত ৫০ হাজার।

এ ছাড়াও পাকিস্তান সরকার বাঙালি নিধনে একইভাবে আলবদর ও আলশামস বাহিনীও গঠন করে। তখন গ্রামগঞ্জে মেম্বারদের রাজাকার বাহিনীতে লোক সংগ্রহ করতে বলা হয়েছিল। জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম, মুসলিম লীগ, জামায়াতে ওলামাসহ পাকিস্তানের সমর্থক অনেক দলের নেতাকর্মীরা রাজাকারসহ অন্যান্য বাহিনীতে যোগ দেয়। তবে স্বাধীনতাবিরোধী এই বাহিনীগুলো সাধারণ অর্থে রাজাকার হিসেবেই পরিচিতি পায়। স্বাধীনতার পর থেকেই এসব বাহিনীর তালিকা প্রণয়ন ও প্রকাশের দাবি ওঠে। অবশেষে স্বাধীনতার ৪৯ বছরে এসে সেই দাবি বাস্তবায়নের পথে সরকারিভাবে কিছুটা হলেও অগ্রগতি হয়েছে। তালিকা প্রকাশের উদ্যোগ শুরু হয় ২০১৪ সালে। জানা গেছে, প্রকাশিতব্য তালিকায় পাকিস্তান সরকারের বেতনভোগী ৩৯৯ জনের নামও থাকছে।

রাজাকার বাহিনীর তালিকা প্রকাশকের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। তিনি বলেন, রাজাকারসহ ঘাতক বাহিনীর তালিকা প্রণয়ন ও প্রকাশের জন্য ১৯৮৫ সাল থেকে দাবি জানিয়ে আসছি। দেরিতে হলেও সেই দাবি বাস্তবায়ন হচ্ছে। এটি অত্যন্ত ইতিবাচক। তবে এখানে থেমে থাকলে হবে না। এই উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সমরাধিনায়ক একে নিয়াজি তার বইয়ে লিখেছেন, রাজাকার বাহিনীতে তারা ৫০ হাজার সদস্য নিয়োগ করেছিলেন। তাদের বেতন-ভাতা দেয়া হতো। তাই আমরা ধরে নিচ্ছি, মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অন্তত ৫০ হাজার রাজাকার নৃশংস ভূমিকা রেখেছে। এখন তাদের চিহ্নিত করতে হবে। যখনই কোনো রাজাকারের নাম-পরিচয় পাওয়া যাবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে যুক্ত করতে হবে। এটা বলা যাবে না যে, তালিকাভুক্তির কার্যক্রম শেষ হয়েছে।

সূত্র:স্বাআলো/ডিএম

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




<figure class=”wp-block-image size-large”><img src=”http://borendronews.com/wp-content/uploads/2020/07/83801531_943884642673476_894154174608965632_n-1-1024×512.jpg” alt=”” class=”wp-image-17497″/></figure>

© All rights reserved © 2019 borendronews.com
Design BY LATEST IT